ঢাকা , শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ , ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
লালদিয়া-পানগাঁওয়ে ১০ বছর করমুক্ত সুবিধা পাবে ২ বিদেশি কোম্পানি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল সর্বোচ্চ আদালতের জুলাইয়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করা ফারাবীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত জাতীয় নির্বাচনের আগে সক্রিয় আন্ডারওয়ার্ল্ড মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ গ্রেফতার ৪ পাবনায় চিরকুট লিখে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার গলায় ফাঁস দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকের আত্মহত্যা রাঙামাটিতে ৩৬ ঘণ্টার হরতাল, সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ ফেনীতে পৃথক ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু বান্দরবানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলা আটক ৫ ডাকসু সদস্য রাফিয়ার বাসায় অগ্নিসংযোগ ককটেল বিস্ফোরণ অপহরণ হয়েছে সৌদি আরবে মুক্তিপণ আদায় বাংলাদেশে পার্শ্ববর্তী দেশে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে-টুকু পুলিশের ওপর হামলা চললে নিজেদের ঘরবাড়ি নিজেরাই পাহারা দিতে হবে-ডিএমপি কমিশনার রাজস্ব কর্মকর্তা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ থেকে সরে যাচ্ছে বড় ক্রেতারা ২০২৬ বিশ্বকাপ ড্রয়ের শীর্ষে আছে যারা ৫২ বছরে প্রথমবার এমন কীর্তি গড়লেন হাকিমি ৯ বছরের মধ্যে সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ নতুন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ডেঙ্গুতে বাড়ছে লাশের সারি

নতুন করে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮

  • আপলোড সময় : ২০-১১-২০২৫ ০৩:৫৪:৩১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-১১-২০২৫ ০৩:৫৪:৩১ অপরাহ্ন
নতুন করে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৮৮
এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু প্রতিমুহুর্ত চোখ রাঙিয়েই যাচ্ছে। রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝে অনেকটা নীরবে কেড়ে নিচ্ছে তরতাজা প্রাণ। দেশের কোথাও না কোথাও প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তবে শীতের শুরুতে সাধারণত কমতে শুরু করে ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার উপদ্রব। কিন্তু গত বছরের মতো এবারো এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। বর্ষা শেষে এরই মধ্যে শীতের আভাস মিলতে শুরু করলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না। উল্টো নিয়েছে ভয়াবহ রূপ। এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসেই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের আনাগানো রয়েছে, তবে হঠাৎই গত তিনদিনে হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা বেশিরভাগ রোগীর বয়সই ৩০ বছরের কম। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের ক্ষেত্রে সাধারণত এই বয়সীদের সংখ্যা যেমন বেশি থাকে, তেমনি তাদের সেরে ওঠার হারও বেশি। তবে এক্ষেত্রে এই বছরের চিত্র এখন পর্যন্ত কিছুটা ভিন্ন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০-এর কম বয়সী রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যই বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারানোদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স ৩০ বছরের নিচে। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এবছর মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মৃত্যুর হার এখন পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত নয়। তবে, ত্রিশের কম বয়সীদের মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা হলেও চিন্তার। এ বিষয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে এডিস মশা নির্মূলের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সে কাজটি আমরা এখনো সঠিকভাবে করতে পারিনি। ফলে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। অথচ ঠেকানো সম্ভব। ডেঙ্গুকে মৌসুমি রোগ ভেবে হালকা করে দেখার সময় শেষ বলেও সতর্ক করেন তিনি। এ বিষয়ে কথা হয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এইচ এম নাজমুল আহসান এর সঙ্গে। তিনি বলেন, পেটে ব্যাথা থাকা, তিন বারের বেশি বমি করা, বারবার বাথরুমে যাওয়া, শরীরের কোনো জায়গা থেকে রক্ত পড়ছে কিনা এমন কোনো লক্ষণ দেখা গেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। জ্বর হলে বা ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর এই বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখা দরকার। তিনি বলেন, রোগ চিহ্নিত হওয়ার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু না হলে, অনেক সময় রোগ দ্রুত জটিল আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শক, রক্তক্ষরণ ও অঙ্গ বিকলের মতো জটিলতা দেখা দিলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। ডেঙ্গু রোগীর ওয়ার্নিং সাইনের জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। জ্বর হলে অবহেলা না করে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু পজিটিভ হলেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৮ জন। গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৪ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ৯৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৫৭০ জন। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৮৭ হাজার ৭১২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯ জনের। এর মধ্যে গত অক্টোবর মাসে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এটিই চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে গেলে ভবিষ্যতে গলার কাঁটা হবে : ১২ দল স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে গলার কাঁটা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের নেতারা। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের সব বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। ১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, অস্বাভাবিক দ্রুততায় বিদেশি কোম্পানির কাছে কনটেইনার টার্মিনাল তুলে দেওয়া দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে ও এটি জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি। এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। বিদেশিদের হাতে টার্মিনাল পোর্ট ও বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন যুক্ত আছে। তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে না। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে দেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। তাই বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের এমন কর্মকাণ্ড অতীতকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জনমত ও জন আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যে কোনও কার্যক্রম জনরোষের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর করবে। বিবৃতিতে সই করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম এ মান্নান।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স